৪-৫ বছর আগের কথা। আমার মামার বয়স তখন ২৩-২৪ এরকম হবে। আমার মামা ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করতো। আমার মামারদের বাড়ি ছিল রাজবাড়ি জেলায়। একবার আমার মামা ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসতেছে। ওনাদের গ্রামের যাওয়ার দুটি রাস্তা ছিল। একটি রাস্তা দিয়ে গেলে দ্রুত যাওয়া যায় কিন্তু একটি সমস্যা ছিল ওই রাস্তা পাশে কবরস্থান ছিল এবং ওখানে নাকি অনেক ভয় ছিল। তাই ওই রাস্তা দিয়ে রাতে কেউ বাড়ি ফিরতো না আর অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে কোন সমস্যা হত না। মামা বাজার পর্যন্ত আসে এবং রিক্সাওয়ালা বলে আর যাবে না অনেক রাত হয়েছে তাই। তো মামা তখন কি আর করবে রিক্সা থেকে নামে এবং দেখে বাজারে দুই একটা দোকান খোলা আছে কিন্তু কোন ভ্যান বা রিক্সা নেই।তখন মামা কিছু করার নেই দেখে অগত্যা হাটা শুরু করে। একসময় ওই দুটো রাস্তার সামনে যেয়ে থেমে ভাবে যে কোন রাস্তা দিয়ে যাবে। তখন মামা মনে করে কবরস্থান এর রাস্তা দিয়েই যাই। তারপর আমার মামা ওই কবরস্থান এর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। তখন মামার মনে পরে যায় যে রাতে কেউ এই রাস্তা দিয়ে যায় না। কারন এই কবরস্থানটি এখন পরিত্যক্ত, এবং এই রাস্তা দিয়ে গেলে নাকি সমস্যা হয়। এই ভেবে মামা থেমে যায়। তারপর মামা ভাবে ওই রাস্তা দিয়ে গেলে অনেক সময় লাগে এবং অনেক দেরি হয়ে যাবে বাড়ী পৌছাতে। এই ভেবে আমার মামা কবরস্থানের রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করে। এমন সময় দেখে আমার মামার গ্রামের বন্ধু জামাল সে পেছন থেকে ডাকতেছে তখন আমার পেছনে তাকায় এবং দেখে সত্যি জামাল আসতেছে। তখন জামাল কাছে আসার পরে জামাল কে বলে তুই এত রাতে কোথায় গিয়েছিলি? তখন জামাল বললো তোকে আনতে বাজারে। তখন মামা বলে কোথায় তোকে তো বাজারে দেখলামনা। তখন জামাল বলে আমি একটু ওই দিকে গিয়েছিলাম। তখন মামা বলে কোন দিকে? জামাল বলে ওই দিকে কিন্তু কোন দিক না দেখিয়ে। তখন আমার মামা এটার তেমন গুরুত্ব না দিয়ে জামাল এর সাথে হাটা শুরু করে। তারপর যখন কবরস্থান এর পাশে আসলো তখন দেখা গেলো জামাল নেই জামাল উধাও। মামা এদিকে ওদিকে তাকিয়ে কোথাও জামালকে খুজে পেল না। তখন মামা একা একা হাটতে লাগলো একটু একটু ভয় নিয়ে বুকে। এমন সময় মামা অনূভব করলো তার শরীর এর ভিতর দিয়ে কে যেন বেরিয়ে গেলো। এরকম অনূভব করার পরে মামা আরো ভয় পেয়ে যায়। এবং কিছু করার নেই ভেবে জোরে জোরে হাটতে শুরু করে। কিছুক্ষন পরে মামার একদিকে চোখ পড়ে যায় এবং দেখে একটি মেয়ে কবরস্থানের কবর থেকে লাশ উঠিয়ে সেই পঁচা লাশ নখ দিয়ে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে এবং আমার মামাকে ডাকতেছে আর খিল খিল করে হাসতেছে। এটা দেখা মাত্র আমার মামা ভয় পেয়ে যান এবং আমার মামার শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন কিছু না দেখার ভান করে দৌড় শুরু করে দেয়। একসময় আমার মামাদের বাড়ীতে এসে চিৎকার দিয়ে হাপাতে শুরু করে আমার মামা। তখন আমার নানা নানী এবং বড় মামা ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে এবং বলে কি হয়েছে। তখন মামা সব ঘটনা খুলে বলে। তখন আমার নানা নানী নিষেধ করে যে যত রাতই হোক না কেনো আর যেন ওই রাস্তা দিয়ে না আসেন। আর জামালকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলে সে বলে সে ওখানে যায়নি। এরপরে আমার মামার আর কোন সমস্যা হয় নাই এবং আর কোনদিন ওই রাস্তা দিয়ে আসেননি। এই ছিল ঘটনা।