ইস্তেগফার অর্থ হলো ‘ক্ষমা প্রার্থনা করা’।
কোনো ভুল করে ফেললে তার জন্য আমরা মহান রব্বুল 'আলামিন আল্লাহ তা'য়ালার নিকট ক্ষমা চেয়ে থাকি।
.
ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা সবাই বিশেষ করে أَسْتَغْفِرُالله ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পড়ি। যা সবার নিকট সহজ ও সহজে উচ্চারিত।
.
আরবি : "أَسْتَغْفِرُالله"
উচ্চারণ : "আস্তাগফিরুল্লা-হ।"
অর্থ : "আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
.
প্রতি ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার আস্তাগফিরুল্লা-হ পরতেন।
.
(মিশকাত-৯৬১)
.
আস্তাগফিরুল্লা-হ পাঠের ফজীলত:
.
বিয়ে, রিজিক লাভ, ডিপ্রেশন ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
.
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا. يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا. وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا
.
নুহ (আ.) বললেন ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে এস্তেগফার করো। ( ক্ষমা চাও) নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র বারিধারা বর্ষণ করবেন। তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধির মাধ্যমে তোমাদের সাহায্য করবেন। তোমাদের জন্যে উদ্যান তৈরি করবেন, তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।’
.
(সূরা: নূহ, আয়াত ১০-১২)
.
এই আয়াতের দ্বারা আমরা এস্তেগফার এর যেসব উপকারিতা জানতে পারলাম। তার মধ্যে দুটি হচ্ছে (১) রিজক বৃদ্ধি (২) সন্তান লাভ। যেহেতু সন্তান বিয়ের মাধ্যমেই হয়। সুতরাং এস্তেগফারের দ্বারা বিয়ের ব্যবস্থাও আল্লাহ করে দেবেন।
.
এছাড়া অন্য আয়াতে বলেন,
.
لَوْلَا تَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
.
সালেহ (আ.) বলেন "তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কেন করছ না, যাতে করে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।"
.
(সূরা নমল ৪৬)
.
যারা পেরেশানি, হতাশা, ডিপ্রেশন, sadness, loneliness ইত্যাদি নানা সমস্যার সম্মুখীন, তারা এস্তেগফারকে ‘লাযেম’ করে নিন।
.
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূল সা। বলেন,
.
"যে ব্যক্তি নিজের জন্যে এস্তেগফারকে লাযেম করে নিল, আল্লাহ তায়ালা তাকে যে কোনো সংকটে পথ দেখাবেন। যে কোনো ধরনের পেরেশানী ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন। এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।"
.
ইস্তেগফার এর মধ্যে উত্তম হলো:
.
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
"আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি।"
"আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি।"
.
(বুখারী ৬৩০৭, মুসলিম ২৭০২)