আজ আমি আপনাদের একটা সত্য ঘটনা বলতে যাচ্ছি যাই । ঘটনাটি ঘটে আমার এক Friend এর সাথে । তার নাম নিষাদ সে আমার সাথেই Inter 2nd Year এ পড়ে। এই ঘটনাটি ঘটে প্রায় এক বছর আগে । নিষাদ তার বাবা মার সাথে গ্রামের বাড়ি রংপুরে বেড়াতে যায় গ্রামের নামটি সঙ্গতও কারনে বলছি না। আগেই বলে রাখি সে একটু ডানপিঠে । কাউকে খুব একটা গ্রাহ্য করতো না।যায় হোক আমি ঘটনাই ফিরে যাচ্ছি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর একদিন রাতের বেলা সে তার বাবা মার সাথে রাগারাগি করে বাসা থেকে বের হয়ে আসে এবং হাঁটতে হাঁটতে একটি নির্জন জায়গায় একটি পুকুর এর ধারে এসে পরে তারপর সে একটি খেজুর গাছের নিচে বসে তার ফোনে Game খেলতে থাকে।Game খেলতে খেলতে একটা পর্যায়ে তার ফোনের Charge শেষ হয়ে যায়। তখন সে চুপচাপ বসে থাকে হঠাত সে খেয়াল করে যে একজন বয়স্ক লোক তার দিকে হেটে আসছে সেই লোকটি তার কাছে এসে বলল "তুমি কে আর এতো রাতে এখানে কি করছো? তারপর নিষাদ তার পরিচয় দেয় আর বলে যে সে এখানে এমনিতেই বসে আছে তারপর সেই লোকটি বলে যে "না এতো রাতে এখানে বসে থাকতে হবে না তুমি বাসায় চলে যাও এতো রাতে এখানে থাকা ঠিক না"।নিষাদ লোকটির কথায় একটু বিরক্ত হয় আর বলে যে না আমি এখানে আরও কিসুক্ষন থাকবো আপনি যানতো তারপর সেই লোকটি বলে যে আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আরও কিসুক্ষন থাকো তবে বেশীক্ষন থেকো না তারপর সেই লোকটি চলে যায় কিন্তু নিষাদ ওখানে বসেই থাকে।কিসুক্ষন পর নিষাদ দেখে যে তার এক ছোট কালের বন্ধু শাহিন যে ঐ গ্রামেই থাকতো সে আসছে নিষাদ এর সাথে শাহিন এর প্রায় ৪-৫ বছর পর দেখা।সাহিন এর সাথে দেখা হওয়ার পর পর নিষাদ ওর সাথে কিসুক্ষন কথা বলে তার কিসুক্ষন পর শাহিনও ওইখান থেকে চলে যায়।শাহিন চলে যাওয়ার পর নিষাদ বুঝতে পারে যে অনেক রাত হয়ে গেছে তারও এখন বাসাই যাওয়া উচিত তো সে বাসার পথে রওনা হয়।প্রচণ্ড অন্ধকার রাস্তা দিয়ে সে হেঁটে চলে তার বাসার দিকে,হঠাত সে দেখতে পায় যে কিছু লোক একটি লাশ খাটিয়ায় করে নিয়ে আসছে তার দিকে সে এই দৃশ্য দেখে সামনের দিকে এগোতে থাকে।যখন তারা সবাই নিষাদ এর সামনে আসে তখন একটা লোক নিষাদকে বলে তুমি এতো রাতে এখানে কি করছো তখন নিষাদ বলে যে এমনি ঘুরতে আসছিলাম।তখন ঐ লোকটি বলে "যে ঘুরতেই যখন আসছো তখন আমাদের সাথে চলো একজন মারা গেছে তাকে দাফন করতে হবে এতো রাতে মানুষ আমারা খুব কম লোক আছি তাই তুমিও আমাদের সাথে চলো" প্রথমে নিষাদ রাজি না হলেও পরে সে রাজি হয় তো নিষাদ তাদের সাথে কবরস্থান এ যায় তাদের সাথে সেই লাশটিকে দাফন করতে।কবস্থান এ গিয়ে সে অজু করে লাশটি কার তা জানার জন্য একটু কৌতূহলবোধ করে তাই সে লাশ দেখতে জায়।তো যে লোকটি লাশ এর পাশে বসে ছিল তাকে বলে লাশটি দেখাতে যখন সেই লোকটি লাশ এর মুখের ওপর থেকে কাফন এর কাপড় সরায় তখন নিষাদ যা দেখে তা দেখার জন্য সে কখনই প্রস্তুত ছিল না সে দেখলো যে কাফনের কাপড় দিয়ে মোড়ানো যে লাশটি সেই লাশটি আর কারো না সেই লাশটি তার সেই বন্ধু শাহিন এর লাশটি দেখারপর যেন তার আর মস্তিষ্ক কাজ করছিলো না সে কিছুক্ষন লাশ এর দিকে হতবম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে তারপর লাশ এর পাশে যে বসে ছিল তাকে জিজ্ঞাস করে যে শাহিন কখন মারা গেছে তখন সেই লোকটি বলে যে আজ সন্ধ্যাই পুকুরে ডুবে মারা গেছে। তখন সে আর কাউকে কিছু বলার সময় পায় না কারন ততোক্ষণে জানাজার নামাজ প্রায় শুরু হয়ে যায় তাই সে আর সাতপাঁচ না ভেবে জানাজায় শরিক হয় আমারা জানি সাধানরত জানাজার নামাজ পাঁচ থেকে দশ মিনিট এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় তবে এই জানাজার নামাজ শুরু হওয়ার প্রায় বিষ মিনিট হওয়া শর্তেও জানাজার নামাজ শেষ না হওয়ায় সে একটু পিছনের দিকে তাকায় এবং দেখে যে যে জানাজার নামাজে পিছনে যারা দারিয়েছে তাঁদের সবার পা উলটো সাধারন মানুষের পায়ের আঙ্গুল গুলো থাকে সামনের দিকে আর পায়ের গোড়ালি থাকে পিছে কিন্তু তাঁদের পায়ের আঙ্গুল ছিল পিছের দিকে আর পায়ের গোড়ালি ছিল সামনের দিকে এইটা দেখে সে খুব ভয় পায় আর সেখান থেকে দৌরে পালানোর চেষ্টা করে তবে তার পা যেন মাটির সাথে একদম লেগে গেছে সে এক পাও নড়াতে পারে না।সে চিৎকার কারার চেষ্টা করে তবে তার মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হয় না।অনেক কষ্টে সে প্রানপন চেষ্টা করে দৌরে পালাতে সক্ষম হয় এবং সে সে দৌরে কবরস্থান থেকে বের হয়ে আসে এবং বাড়ির দিকে দৌড়াতে থাকে কিছুদূর যাওয়ার পর সে সেই রাস্তায় একাটা ছেলেকে দেখতে পায় সে সেই ছেলেকে দেখতে পেয়ে একটু সাহস পায় এবং তার কাছে গিয়ে তাকে দাকে যখন সেই ছেলেটি তারদিকে তাকায় তখন সে সম্পূর্ণ হতবম্ব হয়ে যায় সে দেখে সেই ছেলেটি আর কেউ নয় তার বন্ধু শাহিন যার লাশ একটু আগে কবর দেওয়ার জন্য জানাজার নামাজ পরানো হচ্ছিলো এবং যে জানাজা থেকে সে একটু আগে পালিয়ে এসেছে।শাহিন দিকে তাকিয়ে একটি ভয়ঙ্কর হাঁসি দিয়ে বলল কিরে দৌড়ে কোথায় পালাচ্ছিস আমায় কবর দিবি না।এই কথা শোনার পর নিষাদ আর সহ্য করতে না পেরে সেখানেই সে নিজের জ্ঞান হারায় পরএর দিন সে নিজেকে আবিষ্কার করে তার গ্রামের বাড়িতে সে দেখলো যে তার আসে পাশে তার বাবা মা এবং আত্মীয়স্বজনরা দারিয়ে আছে।তখন তার মা তাকে জিজ্ঞাস করে যে কাল রাতে কোথায় গিয়েছিলি যে তোর বাবা তোকে কবরস্থানের পাসের রাসস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পেল।তখন নিষাদ গত রাতের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা সবাইকে বলে এই ঘটনা শোনার পর সবাই নিষাদ এর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তখন নিষাদ বলে যে কি ব্যাপার সবাই আমার দিকে এই ভাবে তাকিয়ে আছে কেন তখন তার দাদি বলে যে শাহিন ৭ মাস আগে ঐ পুকুরে ডুবে মারা গিয়েছিলো যে পুকুর এর পাশে খেজুর গাছের নিচে নিষাদ বসে ছিল এবং সে আরও জানতে পারে যে গ্রামের অনেক লোকেরাই নাকি মাঝে মাঝে ঐ পুকুর এর ধারে শাহিনকে দেখতে পায় যে পুকুরে ডুবে সে মারা গিয়ে ছিল।তার পরের দিন নিষাদ তার গ্রামের বাড়ি থেকে চলে আশে।এই ছিল ঘটনা ।