সুখবর! আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে। করোনা ভ্যাকসিন পেতে হলে প্রথমে আপনাকে করোনা ভ্যাকসিন অ্যাপে নিজের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। কিভাবে করোনা অ্যাপ ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে করোনা ভ্যাকসিন অ্যাপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন? তাহলে চলুন এই পোস্টের মাধ্যমে জানা যাক, করোনা এপ ডাউনলোড পদ্ধতি এবং করোনা ভ্যাক্সিন এপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া ।
করোনা ভ্যাকসিন অ্যাপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একটি মোবাইল অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশের কোন নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন পেতে হলে এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিক করোনা ভাইরাসের ২টি করে ডোজ পাবেন। ১ম ও ২য় ডোজের বিস্তারিত তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে।
কোন শ্রেণিপেশার মানুষ কোন মাসে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন তা প্রতি মাসে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আগ্রহীরা করোনা ভ্যাকসিন এপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এই অ্যাপে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী কবে এবং কখন কে ভ্যাকসিন পাবেন, কোন কেন্দ্র থেকে পাবেন এবং কোন সময় ভ্যাকসিন পাবেন এসবকিছু ক্ষুদে বার্তার (SMS) মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই তারিখ এবং সময় অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।
এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ |
---|
|
করোনা অ্যাপ ডাউনলোড
করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে করোনা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। করোনা অ্যাপ-এ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরকার নির্বাচন করবে আপনি কখন করোনা ভ্যাকসিন পাবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় স্টোরেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত এন্ড্রোয়েড স্মার্ট ফোন/ ট্যাবলেটের জন্য করোনা অ্যাপ পাওয়া যাবে Play Store অ্যাপ এর মাধ্যমে এবং আইওএস (iOS) অপারেটিং চালিত আইফোন/ আইপ্যাড এর জন্য করোনা অ্যাপ পাওয়া যাবে App Store এ। যেকোনও স্মার্টফোনে থেকে করোনা এপ ডাউনলোড করা যাবে।
করোনা ভ্যাকসিন অ্যাপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া
টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদেরও নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি থেকে। ২৬ জানুয়ারির মধ্যেই করোনা অ্যাপ ‘অ্যাপ স্টোরে’ পাব্লিশ করা হবে।
নিবন্ধন করতে যা প্রয়োজন হবেঃ
অ্যাপ ডাউনলোডের পর করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে আগ্রহীরা নিজেদের মোবাইল ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেককে নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বর্তমান পেশা, শারীরিক জটিলতাসহ (যদি থাকে) বিস্তারিত তথ্য দিয়ে করোনা ভ্যাক্সিন এপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত অন্যান্য কিছু তথ্য
শুরুতে আঠার বছরের নিচের কাউকে করোনা ভ্যাকসিনের দেওয়ার পরিকল্পনা নেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যারা সামনের সারির যোদ্ধা তাদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রথম সারির যোদ্ধাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মী, পুলিশসহ প্রত্যেক সম্মুখসারিতে থাকা কর্মী এবং বয়স্ক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল রোগীরা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে এমন বয়স্ক মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী, শিক্ষাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, গণপরিবহনের কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। উল্লেখ্য, প্রথম সারির যোদ্ধাদের ও করোনা ভ্যাক্সিন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে করনীয়
মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা যিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তিনি ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানান, করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর বমি বমি ভাব, মাথা ঝিমঝিম করা, ব্যথা হতে পারে। তবে সেটা দুই থেকে তিন ভাগের বেশি না।
তবে যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করবে বলেও মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান। এজন্য করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিজেদের কাছে রাখাটা উত্তম হবে। এছাড়াও করোনা ভ্যাকসিন এপ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্নকারীদের করোনা ভ্যাকসিন এপ এ থাকা বিভিন্ন তথ্য পড়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।