গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা। বিয়ের পর থেকে বিতর্ক উঠেছে দুজনকে নিয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি দিনজুড়ে আলোচনায় ছিলেন এই জুটি। নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই নাকি বিয়ে করেছেন। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এমন অভিযোগ তুলে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তামিমার আগের স্বামী দাবিদার রাকিব হাসান। সে বিতর্কের মধ্যেই শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নাসির-তামিমার বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসির-তামিমার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের আরও দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও শফিউল ইসলাম।
পেশায় বিমানের কেবিন ক্রু নাসির-পত্নী তামিমার বাড়ি টাঙ্গাইলে। পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক করা ছিল নাসিরের। আকদের অনুষ্ঠানে শুধু পরিবারের সদস্যরা থাকলেও আনুষ্ঠানিক গায়ে হলুদের মতো বিয়ের এ অনুষ্ঠানেও হাজির হন দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এদিকে, তামিমাকে বিয়ে করে আবারও নতুন করে আলোচনার তুঙ্গে রংপুরের ছেলে নাসির হোসাইন। ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও রাকিব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ১১ বছরের সংসার বিদ্যমান রেখেই নাকি তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন- এমন চটকদার খবর ছড়িয়েছে গোটা সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমজুড়ে। যা নিয়ে নাসির পত্নী তামিমার বিরুদ্ধে একটা জিডিও করেছেন রাকিব।
এখানেই শেষ নয়, ওই সংসার জীবনের মাঝেই তামিমার ৬ মাসের আরেকটি সংসার জীবনের কথাও শোনা যাচ্ছে। জিডি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেন রাকিব। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই তামিমা অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। ছয় মাস সংসার করার পর ফিরে আসে। পরে রাকিবের সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে পার পায়। কিন্তু গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে নাসিরের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হলে রাকিব জানতে পারেন, তামিমা বিয়ে করেছেন। এসব আলোচনা-সমালোচনা উপেক্ষা করেই শনিবার রাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন নাসির হোসেন।