তাদের এই মন্তব্য চরম ভয়ংকর।
আমি গুনাহর মাঝে আছি। একারণে কি আমি ছালাত পড়া বন্ধ করে দিব?
তেমনি, অন্য কেউ গুনাহের মধ্যে আছে। এ জন্য তার ছালাত নিয়ে কি তাকে খোটা দিব?
যখন আমি বললাম, “বহু নামাজি আছে, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে … কিন্তু দেখবেন তার বৌ-মেয়ে …”
এ ধরনের কথা দ্বারা আমার ইগো বুষ্ট হয়। অন্যের নেক আমলের প্রতি আমার ঘৃনাটা বাহির হয়ে আসে। কিন্তু এতে সমাজের কল্যাণ নেই।
এই ধরণের কথার দ্বারা গুণাহকে নয় বরং ছালাতকে আক্রমণ করা হয়।
ভালো আর মন্দকে আমি যখন সাংঘর্ষিক করবো তখন মানুষ ভালোটা ছেড়ে দেবে এই ধারনা করে যে, মন্দে থাকলে ভালো কাজ করা যাবে না।
নামাজ পড়াটা ঐচ্ছিক না। পড়তে হবে। সারাদিন পাপের মাঝে ডুবে থাকলেও ছালাতের সময় হলে ছালাত পড়তে হবে। গুনাহগারের জন্য নামাজ মাফ হয়না।
ঠিক তেমনি সারা দেশ গুণাহে ডুবে গেলেও সরিষা সমপরিমাণ কল্যাণ যদি বাকী থাকে তাহলে আমাদেরকে সেই কল্যাণ টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। অন্য গুণাহের কারণে আমি এই কল্যাণকে আক্রমণ করতে পারিনা। এটা অনেক বড় ভয়াবহ ভুল।
পুরো দেশ গুণাহে ডুবে গেলেও যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকে তবুও এর কল্যাণ আছে।
– আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
কিছু ভাইকে দেখলাম প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, যে দেশের ৯০% মুসলমান ছালাত আদায় করেনা সে দেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলেই কি আর না থাকলেই কি!
Tags:
ইসলাম