আজকের ঘটনাঃ গা ছমছমে সময়
শহরের অন্যতম জনপ্রিয় আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি। যেখানে কিনা অ্যাপার্টমেন্ট খালি পাওয়া যায় না। এত মানুষের আনাগোনার মধ্যে একটি অ্যাপার্টমেন্ট এমন আছে যেখানে সব চেয়ে কম ভাড়ায় টুলেট ঝুলিয়েও নাকি ভাড়াটিয়া খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লোখমুখে জানা যায়, একজন মহিলার আত্মহত্যার পর থেকে কোন ভাড়াটিয়া সেখানে উঠলেই ঘটতে থাকে বিচিত্র সব ঘটনা। একটি ঘটনা এমনও ছিল যা নাকি এতটাই ভয়ংকর ছিল, রাতারাতি বাসা বদল করতে বাধ্য হয়েছিল সেই ভাড়াটিয়ার।
আহমেদ পরিবার (ছদ্দনাম) ৫ মাসের বাচ্চা নিয়ে উঠেছিলেন ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের দিকে অক্সফোর্ড স্কুলটির কাছাকাছি তিন তলার একটি খালি অ্যাপার্টমেন্টে। এই এলাকায় বাসা ভাড়ায় যেখানে ৫০০ টাকার ছাড় পাওয়া যায় না কিন্তু, অর্ধেক ভাড়ায় এত সুন্দর খোলামেলা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়ে, অল্প সময়ের ভেতরেই সপরিবারে উঠে পরেন এই বাসায়। এমন নয় যে এই বাড়ি সম্বন্ধে তিনি জানতেন না। তিনি ভেবেছেন এগুলো কেবলই গুজব।
অ্যাপার্টমেন্টে উঠার বেশ কিছুদিন পর থেকেই শুরু হতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। কালো ছায়া দেখা কিংবা এক জায়গায় জিনিস অন্য জায়গায় খুঁজে পাওয়ার মত ছোট ঘটনাগুলো ছিল নিত্যদিনের। কিন্তু একদিন এমন কিছু ঘটে গেল যা আসলেই মেনে নেওয়ার মত নয়।
পুরো বাসায় থাকতেন মোটে তিন জন মানুষ। আহমেদ সাহেব, তার স্ত্রী আর তাদের ৫ মাসের বাচ্চা। আহমেদ সাহেব নামাজ কালাম পড়তেন নিয়মিত। দেরি করে আসায় প্রায়ই ইশার নামাজ কাজা হয়ে যায়। এমনই একদিন রাত ১১ টার দিকে নামাজ পড়বেন বলে শোবার ঘরের পাশের ঘরে গিয়েছিলেন আহমেদ সাহেব। নিরিবিলি নামাজ পড়বেন বলে ঘরের বাতি নিভিয়ে ঘরের মাঝখানে জায়নামাজ বিছিয়ে বসলেন। অন্যঘরের আলো যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতে সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করা যাবে।
ঘরে হালকা অন্ধকার। পাশের ঘরেই স্ত্রী আর বাচ্চা খেলছে, সেই শব্দ হালকা ভেসে আসছে। শান্ত মনে চোখ বন্ধ করে শুরু করলেন নামাজ । নামাজের শেষে তিনি যখন সিজদাহ থেকে উঠে দুয়া পড়বেন বলে বসলেন কিছু একটা অনুভব করতে লাগলেন! তিনি আর ঘরে একা নন। তার পিঠ ঠেকেছিল দেয়ালে কিন্তু সে তো ঘরের মাঝে নামাজ পরছিলেন! তার পিঠ কেন দেয়ালে ঠেকবে। এমনটা ভাবতেই তিনি চোখ খুলে ফেললেন আর অনুভব করলেন তার কানের কাছে কেউ যেন বিড়বিড় করে কি বলছে! পেছন ফেরে নাকি তাকাবার শক্তি ছিল না তার! এরপর আর কিছু জানা যায়নি…